রবিবার, ২২ Jun ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
মো. ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জ:
সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জেও সপ্তাহের ব্যবধানে স্থানীয় বাজারগুলোতে দফায় দফায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজের দাম আবারও ১২০ টাকায় উঠেছে। তবে দেশের বাহিরে থেকে আমাদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়ে এখন ১০০ টাকায় বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে পেঁয়াজের পাশাপাশি ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে আলুর দাম। গত এক সপ্তাহ আগে যে আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সব ধরণের সবজির দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও মুরগীর মাংসের দাম।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় তাই বেশি দামে বিক্রি করি। তবে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে আরো একদফা বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম।
সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর শহরের বড়বাজার, কাচারী বাজার, পুরানথানাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ ক্রেতাদের কাছে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ১১০-১২০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৯০-১০০ টাকায়। আলু- ৬০, আদা-২২০, রসুন-২২৫, নতুন সবজির মধ্যে সিম বিক্রি করছে ১৫০, টমেটো-১৬০, কাকরল-৮০, চিচিংগা- ৮০, করলা-১০০, বেগুন-৮০, কচুরমুখী-৮০, কাঁচামরিচ-১৪০, লাউ আকার ভেদে ৬০-৮০, কাচাকলা- হালি ৪০, মূলা-৭০, ফুলকপি- ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মো: আব্দুল জব্বার নামের এক ক্রেতা জানান, মাছ, মাংস ও সবজিসহ নিত্য পণ্যের দাম দিন দিন যেভাবে বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এসব পণ্য ক্রয় করা সম্ভব না। সরকার যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে তবে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কিশোরগঞ্জ বড়বাজার ‘সুমাইয়া বাণিজ্য বিতানের’ পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো: বাবুল মিয়া বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ছিল ৭০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৫০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০-৪০ টাকা বেড়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
মো: খাইরুল ইসলাম নামের এক সবজি বিক্রেতা জানান, সম্প্রতি দেশে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় এবং সবজি আরতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি না থাকায় সবজির দাম অনেক বেশি। তাছাড়া গাড়ী ভাড়া আছে। শ্রমিকের বেতন আছে। সব মিলে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বেশি দামে বিক্রি করি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক ‘সংবাদ সারাবেলা’কে বলেন, ‘কৃষি জাতীয় পন্যগুলি এখন থেকে কৃষি বিপনন বিভাগ দেখবে। আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে সম্বনয়ে করে বাজার মনিটরিং করব।’